বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সাথে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বেঠক শেষে রাত ১১টার দিকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এসময় তিনি বলেন, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আসিফ নজরুল আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ-এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এ কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন-
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।